সুকবি সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৬ সালে। শৈশব কাটে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর-রানিগঞ্জ-পাণ্ডবেশ্বর অঞ্চলে। পানশিউলি হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবার কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে তিনি লেখালিখি শুরু করেন। তারপর স্কুল ম্যাগাজিনের ছাত্র-সম্পাদক থেকে কলেজ, ইউনিভার্সিটির অজস্র রোদবৃষ্টি। সঙ্গে বন্ধুর ভালবাসা, প্রকৃতির টান এসব তো আছেই। স্নাতকোত্তর পাঠ সম্পূর্ণ করে বিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে তিনি শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনাতেও তাঁর বিশেষ দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার বিষয়েও যথেষ্ট পরিশ্রমী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিশ্রমের ফসল হল 'দেশ', 'সানন্দা', 'শুকতারা', 'আলোর ফুলকি', 'কবিতা আশ্রম', 'কলেজস্ট্রীট', 'চান্দ্রমাস', 'অল্প কথায় গল্প পত্রিকা', 'রোদের ডানা', 'রোদরং', 'জলার্ক', 'কেতকী', 'বর্ষালিপি', 'বৃষ্টি এলো'-সহ অসংখ্য পত্র-পত্রিকায় কবিতা, ছড়া, গল্পের প্রকাশ। সম্পাদিত পত্রিকা 'শব্দপক্ষ'। সম্পাদনা-সহযোগীরূপে যুক্ত রয়েছেন 'সৃজনকথা'র সঙ্গে। দৌড় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'প্রথম দশকের কবিতা', বীরুৎজাতীয় সাহিত্য সম্মিলনী থেকে প্রকাশিত 'শান্তিনিকেতনের কবিতা', সত্যার্থী প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'মানুষের মারাদোনা'-র মতো কবিতা ও ছড়ার সংকলনে লিখে ইতিমধ্যেই পাঠকমহলে যথেষ্ট সম্মান আদায় করে নিয়েছেন কবি সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "পাঠকের ভালবাসাই হল সবচাইতে দামি পুরস্কার।" তবু, পশ্চিমবঙ্গ যুবকল্যাণ দপ্তর আয়োজিত সরাসরি রাজ্যস্তরে অনুষ্ঠিত (স্টেট লেভেল কম্পিটিশন) স্বরচিত কবিতায় থার্ড পজিশন (তৃতীয় স্থান) অবশ্যই তাৎপর্যের। এ ছাড়া, বাংলাদেশের 'চোখ' কবিতাপত্রের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক ও কবি মোস্তফা সোহেল (এখন প্রয়াত)-এঁর নেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকার বিশেষ প্রাপ্তির। সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনও অবধি প্রকাশিত কবিতার বই :
'রোদ্দুরে যাই চলো' (২০০৬),
'একফাল্গুন শ্যাম্পুসকাল' (২০১১),
'শূন্যের উৎসব' (২০১৬),
'রোদফুল ও প্রসন্ন ওড়াউড়ি' (২০১৯)।
View all posts
অত্যন্ত প্রিয় ও কাছের মানুষ কবি সৌরভ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাঞ্জল শব্দচয়ন আমাকে মুগ্ধ করে। প্রতীক্ষায় থাকি তাঁর নতুন কবিতার।