আমি জীবন লিখি। রোজের জীবনে একটু একটু চুঁইয়ে পড়া
মৃত ইচ্ছাগুলোর শেষ নিঃশ্বাসটুকু ছেঁকে আমি জীবন লিখি।
রোদে পুড়তে পুড়তে, আমার পাশের রোদে ঝলসানো
মানুষের বৃষ্টি ভেজার ইচ্ছা লিখি। আমি জীবন লিখি।
হাড়ে-মজ্জায় সেঁধিয়ে যাওয়া অসুরদের বধ করতে চেয়ে
প্রত্যেকদিন একটা নতুন হারের গল্প লিখি। আমি জীবন লিখি।
একঘেয়েমির ঝাপটা সরিয়ে জীবনে রোমাঞ্চ খোঁজার নেশায় বুঁদ
মাতাল লোকের শেষ আক্ষেপের আর্তি লিখি। আমি জীবন লিখি।
একজীবনে অনেক মৃত্যু মরে জিন্দা লাশ হয়ে ঘুরছে যারা
তাদের মরে বাঁচার ছন্দ লিখি। মৃত্যুও সাক্ষী, আমি জীবন লিখি।
আমি প্রেম লিখি না, তবে প্রেমে ভাঙা মনের সেই পুরনো গল্প
ইচ্ছে হলে একটু নতুনভাবে লিখি। জীবনের প্রেমে আমি জীবন লিখি।
নবতরু ই-পত্রিকার একদম জন্মলগ্ন থেকে নিয়মিত লেখালেখির সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাঁদের মধ্যে লেখক জিৎ সরকার অন্যতম।
১৯৯৭ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর বাল্যকাল এবং বড়ো হয়ে ওঠা নদীয়ার করিমপুরে। স্থানীয় করিমপুর জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে কৃষ্ণনাথ কলেজে জীববিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বর্তমানে করিমপুরেই থাকেন পেশায় ও নেশায় ছাত্র জিৎ সরকার। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখির কাজও।
জীববিদ্যাতে প্রথমশ্রেণিতে স্নাতক জিৎ সরকারের শখ প্রধানত লেখালেখি করা তছাড়াও বই পড়া, গান শোনা
সিনেমা দেখা, রান্না করা, পুরোনো ইতিহাস ঘাটাঘাটি করা প্রভৃতিতেও উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। তাঁর লেখালেখির জীবন শুরু কবিতা দিয়ে। তারপরেও কিছু কবিতা লেখা হয়েছে। তার মধ্যে কিছু সোস্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। দুটি কবিতা দুটি ওয়েব ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি চলছে সমান তালে। এছাড়া ছবি আঁকা, ক্রিমিনোলজি সর্ম্পকে ধারনা প্রভৃতি বিষয়েও বিশেষ দক্ষ তিনি। তীক্ষ্ণ স্মৃতিধর জিৎ সরকারের লেখায় বুদ্ধিদীপ্তের ছাপ পরে লেখার পরতে পরতে।
জীবন লেখায় অসংখ্য মানুষের প্রতিলিপি। কবিতার দৃশ্যপটে তাই দেখলাম।
Khub Sundar lekhata
,,বাঃ বাঃ।অপূর্ব লেগেছে আমার।কবিতার প্রথম লাইন থেকেই একটা অভুত অহংকার লেপটে আছে যা আমার খুবই পছদের।