Recent Post

আমার সকাল: অহনা মুখোপাধ্যায়

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারিদিক কুয়াশার চাদরে সাদা হয়ে গেছে। সকালে স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। মা বলে “সনু আজকের দিনটা স্কুলে যাও, গাড়িতে যাবে মজা হবে।” বাবা বলল, “নিচে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।”

নিচে গিয়ে দেখি গাড়ি কোথায়? বাবা বলে, “দাঁড়া দাঁড়া গাড়ি আসছে।” 

Nabataru-e-Patrika-2023-11.jpg

আমার ইচ্ছা করছিল মায়ের কাছে গিয়ে লেপের তলায় ঢুকে পড়ি। এরপর গাড়ি আসল; দেখি বন্ধুরা সব টুপি, জ্যাকেট, মোজা পড়ে বসে আছে। স্কুলে গিয়ে সব শীত ভুলে গিয়েছিলাম। তারপর বৈতালিকে সকলের সঙ্গে দেখা হল। বাংলা ক্লাসে সবাই নিজের নিজের ঘরে ঢুকে পড়লাম। আসতে আসতে কুয়াশার চাদর সরে গিয়ে রোদ উঠল। একটার পর একটা ক্লাস হল। তারপর ছুটি হল—বাড়ি ফিরলাম। বাড়িতে এসে বুনুর সঙ্গে খেলা করলাম। মনে হল আজ স্কুলে যদি না যেতে পারতাম তাহলে বড় ভুল হয়ে যেত।

Author

  • অহনা মুখোপাধ্যায়

    নবতরু ই-পত্রিকার কমবয়সী লেখিকাদের মধ্যে অহনা মুখোপাধ্যায় হলেন একজন। ২০১৫ সালে বীরভূম জেলার কীর্ণাহারে মামার বাড়িতে তাঁর জন্ম হয়। ওই জেলারই নানুর থানার অন্তর্গত নিজ গ্রাম শ্রীকৃষ্ণপুরে কাটে তাঁর শৈশবের কয়েকটা বছর। বর্তমানে বোলপুরের বাসিন্দা অহনা মুখোপাধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠভবনের ছাত্রী। অন্যান্য ছেলেমেয়ের মতোই ভালোবাসেন নাচ-গান। ছবি আঁকা ও গল্প লেখাতেও বেশ পটু তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শৈশবের গরমকাল: ঈশিতা পাল
গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

শৈশবের গরমকাল: ঈশিতা পাল

    আমার শৈশব ভাড়াবাড়িতে। তাই গরমের ছুটিতে কাকু, জেঠুদের বাড়ি টানা একমাস ছুটি কাটাতে যেতাম। মামাবাড়িও যেতাম। ছেলেবেলার গরমকাল জুড়ে বেশ কিছু মজার স্মৃতি আছে

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    চাদিফাঁটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ
    গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

    চাঁদিফাটা আমার সেকাল: বন্দে বন্দিশ

      মনে পড়ে যায় ছেলেবেলার সেইসব দিন, প্রচন্ড গরম থেকে স্বস্থির আরাম

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      শৈশবের গরমকাল: মধুরিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
      গদ্য- সাহিত্য স্মৃতিকথা

      শৈশবের গরমকাল: মধুরিমা বন্দ্যোপাধ্যায়

        শীত বুড়ির চাদর পেড়িয়ে যখন গ্রীষ্মকাল আসে দাবদাহ যেন ভৈরব সন্ন‍্যাসীর মতন তাড়া করে। আমাদের ছোটবেলায় মুঠোফোন অনেক দূরের ব‍্যাপার লোডশেডিং এর পাড়ায় কার্টুন দেখাও ছিল শক্ত কাজ।

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন