বাস্তবে তপন ঘোষ উসকে দিয়েছে।
কাজে মিল থাক নামে তো খানিকটা আছে। উপহাস করে কিছুটা নোনা জল তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগর, আর এই বান্দা শ্রীমন্ত সাগর। কিন্তু পর্বতে মূষিক প্রসব করার লোক সীমন্ত সাগর নয়। আইনের প্রাক্টিস পুরোপুরি বন্ধ রেখে এবার ঈশ্বরচন্দ্রের পূর্ণাবয়ব বসাবে। সাথে সেমিনার, তপন ঘোষ মদতদাতা।
তপন কুমার ভেবেছিলেন নিজের পছন্দসই শিল্পী এনে কিছু কমাবেন। সে গুড়ে বালি! শ্রীমন্ত বেশ হুঁশিয়ার লোক। মানুষ চরিয়ে খায়।
এই করতে করতে সংগ্রহকারী দল এক হার্ডওয়ারের দোকানে এসে উপস্থিত।
ঝড় বাদলের দিনে কয়েকজনকে জুটিয়ে তহবিল সংগ্রহের নেমে পড়েছেন। যা দান দক্ষিণা উঠল তাতে ফুলের দাম হবে না।

তপন হতাশ হয়ে বলে প্রতিদিন গড়ে তো দু’হাজার কামাও। পেশা বন্ধ করা উচিত হয়নি।
শ্রীমন্ত অবশ্য অন্য কথা বলে। বলে—মানুষকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বোঝাতে পারছি না।
এই করতে করতে সংগ্রহকারীরা একটি হার্ডওয়ারের দোকানে উপস্থিত হন। শ্রীমন্ত সাগরকে দেখেই মালিক মশাইয়ের সাষ্টাঙ্গে প্রণাম। তপন ঘোষ সুযোগটা কাজে লাগায়। বলে আমরা বিদ্যাসাগর করছি তো। দয়া করে একটু মোটা চাঁদা দিন।
মল্লিক মশাই বলেন, “মোটা চাঁদা, কী বলছেন মশাই। আমি বিদ্যাসাগর বুঝিনা, শ্রীমন্ত সাগর বুঝি। আমার ব্যবসা লাটে উঠেছিল। আমার অকালকুষ্মাণ্ড ভাইয়ের পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বাতিল করে দিয়েছেন উকিল সাহেব। তার দয়ায় করে খাচ্ছি।”
তিনি ক্যাশ বাক্সটা এগিয়ে দেন। বললেন গুনতে হবে না সব পকেটে ঢুকিয়ে নিন।
স্বপন ঘোষ এর চক্ষু ছানাবড়া। এক কোপে দেড় লাখ। কালেক্টর সকলে হতবাক! এ তো বিদ্যাসাগরের যুগ নয়। এ যুগেও এমন ঘটনা ঘটে?
বেশ লাগলো পড়ে।