Recent Post

আজও ঘটে: দেবাশিস সরখেল

বাস্তবে তপন ঘোষ উসকে দিয়েছে। 

কাজে মিল থাক নামে তো খানিকটা আছে। উপহাস করে কিছুটা নোনা জল তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগর, আর এই বান্দা শ্রীমন্ত সাগর।  কিন্তু পর্বতে মূষিক প্রসব করার লোক  সীমন্ত সাগর নয়। আইনের প্রাক্টিস পুরোপুরি বন্ধ রেখে এবার ঈশ্বরচন্দ্রের পূর্ণাবয়ব বসাবে। সাথে সেমিনার, তপন ঘোষ মদতদাতা।

তপন কুমার ভেবেছিলেন নিজের পছন্দসই  শিল্পী এনে কিছু কমাবেন। সে গুড়ে বালি! শ্রীমন্ত বেশ হুঁশিয়ার লোক। মানুষ চরিয়ে খায়।

এই করতে করতে সংগ্রহকারী দল এক হার্ডওয়ারের দোকানে এসে উপস্থিত।

ঝড় বাদলের দিনে কয়েকজনকে জুটিয়ে তহবিল সংগ্রহের নেমে পড়েছেন। যা দান দক্ষিণা উঠল তাতে ফুলের দাম হবে না।

তপন হতাশ হয়ে বলে প্রতিদিন গড়ে তো দু’হাজার কামাও। পেশা বন্ধ করা উচিত হয়নি।

শ্রীমন্ত অবশ্য অন্য কথা বলে।  বলে—মানুষকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে  বোঝাতে পারছি না।

 এই করতে করতে সংগ্রহকারীরা একটি হার্ডওয়ারের দোকানে উপস্থিত হন। শ্রীমন্ত সাগরকে দেখেই মালিক মশাইয়ের সাষ্টাঙ্গে প্রণাম। তপন ঘোষ সুযোগটা কাজে লাগায়।  বলে আমরা বিদ্যাসাগর করছি তো। দয়া করে একটু মোটা চাঁদা দিন।

মল্লিক মশাই বলেন, “মোটা চাঁদা, কী বলছেন মশাই। আমি বিদ্যাসাগর বুঝিনা, শ্রীমন্ত সাগর বুঝি। আমার ব্যবসা লাটে উঠেছিল। আমার অকালকুষ্মাণ্ড ভাইয়ের  পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বাতিল করে দিয়েছেন উকিল সাহেব। তার দয়ায় করে খাচ্ছি।”

তিনি ক্যাশ বাক্সটা এগিয়ে দেন। বললেন গুনতে হবে না সব পকেটে ঢুকিয়ে নিন।

স্বপন ঘোষ এর চক্ষু ছানাবড়া। এক কোপে দেড় লাখ। কালেক্টর সকলে হতবাক! এ তো বিদ্যাসাগরের যুগ নয়। এ যুগেও এমন ঘটনা ঘটে?

Author

  • দেবাশিস সরখেল

    আশির দশকের কবি ও গল্পকার দেবাশিস সরখেল পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরের নড়িরা/নডিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে প্রথমে ভারতীয় ডাক বিভাগ ও পরে উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে অবসরকালীন সময়ে সাহিত্য চর্চায় নিমগ্ন রয়েছেন। নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি করেছেন একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সেখানে নিয়মিত সাহিত্যের আসর বসে।সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় তাঁর অবাধ বিচরণ। কবিতা, গল্প-সহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা অনেকগুলিই।

One thought on “আজও ঘটে: দেবাশিস সরখেল”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Nabataru-e-Patrika-2023-9.jpg
ছোটো গল্প

কলার বাকল: রানা জামান

    জাবের ও নাভেদ বের হয়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভ্রমণে। ওরা চলে গেল নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। সাদা সিমেণ্ট দেখবে। বাংলাদেশের আরেক মূল্যবান খনিজ; চিনামাটির তৈজসপত্র তৈরি করা হয়। পাহাড়ি এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে ওদের বেশ লাগছে। ছোট ছোট পাহাড়ে উঠে ছবি তুলছে দেদার, সেল্ফিও নিচ্ছে। সকাল এগারোটা বাজছে। খিদে খিদে ভাব অনুভব করছে পেটে। চা পানের […]

    বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
    ছোটো গল্প

    বোকার চালাকি: সৌমেন দেবনাথ

      দেখতে যেমন বোকা বোকা, কথাবার্তায়ও তেমন বোকা বোকা। কাজে-কর্মের ধরণ-ধারণেও বোকামি বোকামি ভাব। চলন-বলনেও বোকা বোকা দেখতে লাগা মানুষটার নাম আক্কাস। সহজ-সরল আর আলাভোলা এই লোকটাকে নিয়ে আমরা যথেষ্ট  মজা-মশকরা করি। যখন মন চায় তখনই তাকে ডেকে নিয়ে যেদিক সেদিক চলে যাই।

      বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
      ছোটো গল্প

      মানসী: তুলি মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী

        হঁ বাবু, যে শরীর তুকে শান্তির ঘুম দেয়, একটা ছবি থাকবেনি তার! কুতোওও ছবি তুর আঁকা, বিকোয় দেশ বিদেশ, একটা লয় ইখানেই থাইকবে, মাটির ঘরে

        বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন