তোমার আঙুল ছুঁয়ে হাঁটছি বহুকাল---
তবু তোমায় ছুঁইনি কেন মনে হয়?
নিরাময়ের বিশল্যকরণী,
সে তো তোমারি হাতে।
ভেলার মত ঘাসি-নৌকা, ফুরফুরে সিল্কি হাওয়া,
স্বচ্ছ তোমার নদীর শিলান্যাস।
তবু আমার উড়ে যাবার আকাঙ্খা কমে না কেন!
সার্কাসের তারের উপর দিয়ে যখন হাঁটি,
বিবশ এক আতঙ্ক ঘিরে থাকে নিরন্তর।
তবু তোমাকেই ব্যালেন্সের ছাতা ভাবি,
বিষাদের মুহূর্তেও তোমার অন্তরঙ্গ উপস্থিতি।
নদীর জলে বৃষ্টি বিন্দু হয়ে ভাসি,
কেউ চিনতে পারে না তখন!
তুমি কিন্তু ঠিক চিনে নিতে পারো আমায়।
তারহীন কোন অলীক যন্ত্র বাজে তন্ত্রীতে আমার,
কোমল চর্যাপদ যেন শুনতে পাই।
আত্ম মন্থনে যেন কোনো এক আত্মিক অনুভব...
নবতরু ই-পত্রিকার সম্পাদক বরুণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৮৪ সালে। বীরভূম জেলার নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুরের গ্রামের বাড়িতেই বড়ো হয়ে ওঠেন। আবাসিক ছাত্র হিসাবে বিদ্যালয় জীবন অতিবাহিত করেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও উত্তর শিক্ষা সদনে। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বরুণ মুখোপাধ্যায় বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভালোবাসেন লেখালেখি করতে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীল কাজকর্মের মধ্যে নিজেকে সর্বদা যুক্ত রাখেন। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে সাহিত্য সৃষ্টির উন্মেষ ঘটানোর জন্যই দায়িত্ব নিয়েছেন নবতরু ই-পত্রিকা সম্পাদনার।
2 thoughts on “আঙুল ছুঁয়ে থাকি: অমিতাভ চক্রবর্তী”
কবিতাটি পড়লাম। ব্যলান্সের ছাতা, অথবা তারের উপর হাঁটা, কিংবা শ্রোতের পিঠে বৃষ্টির ফোঁটা, এসবের সঙ্গে আরো অনেক না লেখা অনুসঙ্গ যেন মিছিল করে স্পর্শ করতে চায় অন্তরের অন্তস্থলের অন্তহীন গভীরতাকে। অভিনন্দন কবিকে।
কবিতাটি পড়লাম। ব্যলান্সের ছাতা, অথবা তারের উপর হাঁটা, কিংবা শ্রোতের পিঠে বৃষ্টির ফোঁটা, এসবের সঙ্গে আরো অনেক না লেখা অনুসঙ্গ যেন মিছিল করে স্পর্শ করতে চায় অন্তরের অন্তস্থলের অন্তহীন গভীরতাকে। অভিনন্দন কবিকে।
আপ্লুত আমি!
পাশে থাকুন কলম চলবে কথা দিলাম
🙏🙏🙏🙏