Antioxidants এবং আমাদের দেশের সীমান্তে প্রহরারত সেনা জওয়ান উভয়ই সমান কারণ এদের দুজনেরই কাজ সমান মানুষকে রক্ষা করা। যেমন আমাদের দেশের সীমান্তে প্রহরারত সেনা জওয়ানরা বহিরাগত শত্রুদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে ঠিক তেমন ভাবেই antioxidants সমূহ আমাদের শরীরকে ক্ষতিকর মুক্তমুলকের প্রভাব থেকে রক্ষা করে আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে অগ্ৰনী ভূমিকা পালন করে।
কী এই মুক্তমুলক?
আমরা সবাই জানি অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন এই দুটি গ্যাস আমাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কারণ আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় জৈবঅনু বা Bio molecules সমূহের প্রাথমিক গঠনে এই অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন থাকে। এছাড়াও অক্সিজেন আমাদের জীবনধারণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কিন্তু আমাদের বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীন পরিবেশের কিছু হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে আমাদের শরীরে এই অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে কারণ এই সময় অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন থেকে অতিসক্রিয় এবং highly reactive মুলক উৎপন্ন হয় এদেরকে যথাক্রমে Reactive Oxygen Species [ROS] এবং Reactive Nitrogen Species [RNS] বলা হয়। এই দুটো compounds কে মুক্তমুলক বলা হয় কারন এইসব compounds এর শৃঙ্খল এ এক বা একাধিক unpaired electrons থাকে। এইসব unpaired electrons এর জন্য এরা Highly reactive হয়ে থাকে। কয়েকটি মুক্তমুলক হল Hydroxyl radicals [OH-], Super oxide radicals [O2-], Hydrogen Peroxide [H2O2], Nitric Oxide [NO] প্রভৃতি। এইসব মুক্তমুলক সমূহ আমাদের কোষস্থ বিভিন্ন জৈবঅনু যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, DNA কে নষ্ট করে দেয় যার ফলে আমাদের cellular damage হয়।
মুক্তমুলকের উৎস
মুক্তমুলক মুলত দুটো প্রধান পথে আমাদের শরীরে উৎপন্ন হয় বা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যেমন-
১. কোষস্থ বিপাকীয় প্রক্রিয়ার প্রভাব [Cellular Metabolism]
২. বাহ্যিক পরিবেশের প্রভাব [Environmental Effects]
ANTIOXIDANTS কী?
Antioxidants হল এমন কতকগুলি compounds যারা আমাদের দেহে মুক্তমুলকের থেকে কম ঘনত্বে উপস্থিত থেকে মুক্তমুলকের ক্রিয়াকে অবদমিত করে বা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় যার ফলে আমাদের দেহ সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে। Antioxidants কে বলা হয় scavengers of free radicals অর্থাৎ antioxidants আমাদের শরীরে প্রবিষ্ট মুক্তমুলক সমূহকে আমাদের শরীর থেকে ঝাড়ু দিয়ে বের করে দেয়।
প্রকৃতি ও কার্য অনুসারে Antioxidants এর শ্রেনীবিভাগ
প্রকৃতি ও কার্য অনুসারে Antioxidants কে মুলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ENZYMATIC ANTIOXIDANTS:- Superoxide Dismutase, Catalase, Glutathione Peroxidase, Glutathione Reductase.
NON ENZYMATIC ANTIOXIDANTS:- ইহা মুলত দুই প্রকার। যথা-
NUTRIENT ANTIOXIDANTS:- Carotenoids, Alfa-Tocopherol, Ascorbic Acid, Selenium
METABOLIC ANTIOXIDANTS:- Glutathione, Ceruloplasmin, Albumin, Bilirubin, Transferrin, Uric Acid.
রোগ প্রতিরোধে NUTRIENT ANTIOXIDANTS এর ভুমিকা

CAROTENOIDS
Carotenoids হল একপ্রকার রঙিন compounds যারা মুলত plants এবং microorganisms এর দেহে সৃষ্টি হয়। আমাদের অর্থাৎ মানুষদের প্রতিদিনকার খাদ্যে যেসব রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল যেমন- কমলালেবু, পাকা পেঁপে, পাকা আম, গাজর, বিট প্রভৃতি সেগুলি সবই এই Carotenoids সমৃদ্ধ। এই শাকসবজি এবং ফলমুলে উপস্থিত carotenoids আমাদের বিভিন্ন রোগব্যাধির হাত থেকে রক্ষা করে। যেমন- হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং বিভিন্ন ক্রনিক রোগব্যাধি। এই carotenoids হল vitamin-A এর উৎকৃষ্ট উৎস। মানুষ এবং জীবজন্তুদের photooxidative stress থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এই Photooxidative stress কী? আমাদের দেহের যেসব উন্মুক্ত স্থান প্রতিনিয়ত সূর্যরশ্মি থেকে আগত UV তরঙ্গের সংস্পর্শে আসে তখন দেহের ওইসব উন্মুক্ত স্থানে UV তরঙ্গের প্রভাবে ঘা এর সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে ওই স্থানে Cancer এর সৃষ্টি হয়। একেই বলা হয় Photooxidative stress। Beta Carotene একটি উল্লেখযোগ্য carotenoids একে Provitamin-A বলা হয়ে থাকে। কারণ ইহা সক্রিয় Vitamin-A তে পরিবর্তিত হতে পারে। এই Beta-Carotene সক্রিয় Vitamin-A বা Retinol এ পরিবর্তিত হয়ে আমাদের দেখতে সাহায্য করে। এছাড়াও Beta-Carotene Antioxidant রূপে কাজ করে Singlet Oxygen কে আমাদের শরীর থেকে দূরীভূত করে।
LYCOPENE
Lycopene হল Carotenoids পরিবারের সদস্য এবং এটি একটি Phytochemical যা ফ্যাটে দ্রবনীয়। ইহা একটি antioxidant এবং বিভিন্ন অনুজীব এবং উদ্ভিদে ইহা উৎপন্ন হয়। Lycopene এর রং লাল হবার কারণে ইহা অনেক ফল এবং সব্জিতে উপস্থিত থেকে সেই সব ফল ও সব্জিকে লাল রং প্রদান করে। যেমন- টমেটো লাল কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে Lycopene থাকে। Lycopene একটি Phytochemical হলেও এর Antioxidant ধর্মের জন্য একে বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয় কারন 1999 সালে 72টি গবেষনার পর দেখা গিয়েছিল Lycopene আমাদের Prostate, Breast, Cervical, Ovarian, Liver প্রভৃতি ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এছাড়াও Lycopene আমাদের দেহের কোষগুলোকে Oxidative damage এর হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের risk factors গুলোকে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও Lycopene উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয় Oxidized Low Density Lipoprotein [LDL]এর মাত্রা রক্তে যার ফলে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় আমাদের।
POLYPHENOLS
Polyphenols রা মুখ্যত উদ্ভিদের মধ্যে উৎপন্ন হয়। ইহা প্রধানত পাওয়া যায় আলু, শাকসবজি, দানাশস্য, কফি প্রভৃতিতে। এছাড়া Phenolic acids, Flavonoids এরাও এই Polyphenols এর অন্তর্ভুক্ত। এরা মুখ্যত থাকে চা, Red wine, আপেল, টমেটো, চেরি, পেঁয়াজ, সয়াবিন, ডাল, আঙুর, কমলালেবু, লেবু, নিম প্রভৃতিতে। খাদ্যস্থ Flavonoids যেমন Catechins, Gallic Acids, Quercetin, Glucoside রা antioxidant property যুক্ত [Salucci et al.]। অনেক বছর ধরে Flavonoids কে ব্যবহার করা হয় হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য। Oxidative stress হল হৃদরোগের অন্যতম কারণ এবং Polyphenol Flavonoids এই oxidative stress কে প্রতিরোধ করে হৃদরোগ প্রতিহত করতে সক্ষম।
VITAMIN-C
ইহা একটি জলে দ্রবনীয় ভিটামিন এবং এটি আমাদের দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে অংশ নেয়। এছাড়াও এটি antioxidant এর মতো কাজ করে এবং মুক্তমুলক সমূহকে আমাদের শরীর থেকে দূর করে দেয় এবং lipid peroxidation এর প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দেয়।
VITAMIN-E
ইহা একটি ফ্যাটে দ্রবনীয় ভিটামিন এবং এটি একটি অতিসক্রিয় antioxidant। এটি আমাদের দেহের কোষসমূহে উপস্থিত থেকে Lipid peroxidation এর প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে সহায়তা করে।