নিমগ্ন আঁধার থেকে যে নৈঃশব্দ্য উঠে এলোআমি তার আঁচলের দাগ ছুঁয়ে দিতে পারি;
সযত্নে গোপন দুঃখ তার সাথে ভাগ করি
আবার সুখও নিয়ে রাত্রিভর জেগে থাকি।
বিনিদ্র চোখের পাতা সন্তরণ শিখে নেয়
জলের বিস্তারে স্বপ্ন এঁকে রাখে জলছবি;
নিজস্ব স্তব্ধতা ডাকে বেলাশেষে কানাগলি
আমিও উন্মুখ হই, তুলে আনি হৃত স্মৃতি।
জাগরণ শেষ হলে চৈতন্য ঘুমের দেশে
বাহবা কুড়োতে গিয়ে সঞ্চয়ও শূন্য হয়;
দিকভোলা হাওয়ারা ক্রমে গমনে অস্থির
রাজপথ চেয়ে থাকে উদাসীন কৌতূহলে।
দিনান্তে বিশ্রাম নেয় খেটেখাওয়া মানুষ
অন্নের জোগান চাই, ঘাম ক্লান্তি কর্মক্ষম
তবুও মানুষ ভীত, অনিকেত সভ্যতার
ঘাড় নাড়া, ভাইরাসের আক্রমণ অনাহূত।
সচ্ছল দিনের দিকে আমাদের চেয়ে থাকা
জানি না কী হবে পাছে, অহেতুক নিস্তব্ধতা!
সাহিত্যিক রবীন বসু ১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থায় চাকরির পর বর্তমানে অবসর গ্রহণ করেছেন। লিখেছেন বহু কবিতা, প্রবন্ধ ও গল্প। সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে প্রথম সারির বিভিন্ন দৈনিক ও পত্র-পত্রিকায়। সম্পাদনা করেছেন একাধিক পত্রিকা। পেয়েছেন 'মহাশ্বেতা দেবী স্মৃতি পুরস্কার'(২০১৮)-সহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা। সারা জীবনের সাহিত্য চর্চার জন্য পেয়েছেন দু'টি জীবনকৃতি সম্মাননা(২০১৯, ২০২১)। প্রকাশিত কবিতার বই :
সাম্প্রতিক দু’জন (১৯৮০)
পঁচিশে বোশেখের কবিতা (১৯৮২)
নাবিক ও জলকন্যার গল্প (২০১৭)
ক্ষুধার স্তিমিত গদ্যে কবিতার মানচিত্র (২০১৮)
ধর্ম ভাসে জলজ শ্যাওলায় (পকেট বুক ২০১৮)
জন্মের প্রবাহিত ঋণ (২০১৯)
বৃষ্টিচিহ্ন ও বিদায়বেলা (ই-বুক ২০২০)
চতুর্দশপদী (২০২১) প্রকাশিত উপন্যাস :
ভাঙন (১৯৮৪) প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ :
সোনালী মাছের আঁশ (১৯৮৭)
ইলিশ ভাপা ও অন্যান্য গল্প (২০২০)
হাওয়ায় ওড়ে মেঘজীবন (অণুগল্প সংকলন ২০২০)