মনের খুশিতে রঙ মাখি
পেরিয়ে যাই ত্র্যহকাল। বৈতরণী ঘাট
ছাদের কার্ণিশে তখনো ঘূর্ণি। অনন্ত ঝড়ের তছনছ।।
ওপারে তখনো আকাশ
অস্তিত্বহীন লাশ
লাশফুল
এক একটি ফুলের গায়ে চাপ চাপ রক্ত। অস্ট্রিক জীবন।।
তখনও চেয়ে আছি মহাকালের দিকে
শঙ্কাগ্রস্ত প্রাণ
প্রতিটি শঙ্কার মাঝে অস্তিত্বহীন মেরুদণ্ড
প্রতিটি জাহাজের মাস্তুলে জীবনের ভরাডুবি। পাতার শনশন।।
তখনও শিরদাঁড়াহীন মানুষ
এখনও শিরদাঁড়াহীন অস্তিত্ব
মানুষ আছে মানুষ হয়ে কেবল মুখে নেই কোনো প্রতিবাদ।।
মানুষের ছাল পরে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ
অস্তিত্বহীন লাশ
লাশফুল
সত্যিই আমরা আজও মহান শিল্পী। আমরা আজও বন্ধু পরস্পর।।
কবি ও লেখক হামিদুল ইসলাম ১৯৫৫ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভোঁওর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কাটে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। পড়াশোনার জন্য আসেন মামার বাড়িতে, সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে পুনরায় ফিরে আসেন নিজের বাড়িতে। এরপর বালুরঘাট কলেজ থেকে স্নাতক ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৮৪ সালে শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন।
চোদ্দ বছর বয়সে তাঁর লেখা প্রথম কবিতা 'ভালোবাসা' প্রকাশিত হয় স্কুল-ম্যাগাজ়িনে। পরবর্তীতে কলেজ জীবনে বিভিন্ন সাহিত্য পত্র-পত্রিকার সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর কথায়, "লেখা আমার নেশা; লেখা আমার জীবন।" লালন চাঁদ ছদ্মনামে তিনি লেখালেখি করেন। এ-যাবৎ তাঁর ন'টি একক কাব্যগ্রন্থ ও ত্রিশটিরও বেশি কাব্য সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। 'সাহিত্য রত্ন' ও 'কবি সাগর' সম্মাননা-সহ পেয়েছেন একাধিক সম্মাননা ও পুরস্কার।