তখন তুমি আর জল থাকো না যখন তুমি মেঘ হয়ে যাও,জল থাকো না যখন খুব হিম হয়ে যাও।
ঘাসের ডগায় শিশির কণা হও।
নাকের ডগায় হও লজ্জাবতী ফুল।
যে লাঙল টানে তার পিঠে হও নোনা হ্রদের ঘাম।
তখন তুমি আর জল থাকো না
তোমার গায়ে গন্ধ থাকে, রং থাকে, স্বাদ থাকে।
রাতের একটা বই আছে, প্রতি রাতের একটা পাতা।
পাতায় পড়ে ঢাকা রাতের কথা।
কেউ দেখে না।
ঘরের সব বাতি গেছে নিভে,
আকাশের চাঁদ, দূরের তারা আর ল্যাম্পপোস্টের নীচে দলা পাকানো কুকুর ছাড়া
জেগে থাকে না আর কেউ,
তখন শোবার ঘরে বালিশে মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে কাঁদে কেউ নিঃশব্দে,
জোনাকির বুকে জ্বলে ওঠে আলোর শিশির বিন্দু!
না! তুমি তখন আর জল থাকো না।
কাঁচা সোনায় যেমন এটা সেটা বসিয়ে কারুকাজ করে অলংকার হয়ে যায় দামি—
তেমন কিছু, তার আছে অন্য নাম,
জল! তখন তুমি আর জল থাকো না।
লেখক ও কবি তূয়া নূর ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশুনা করেছেন স্থানীয় সেক্রেড হার্ট মিশনারী স্কুল, দাউদ পাবলিক স্কুল ও মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ে। তারপর ঢাকাতে আসেন উচ্চ শিক্ষার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসিতে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে নিউ ইয়র্কে আসেন ফার্মেসিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য। লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মেসিতে ২০০০ সালে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে লেখালেখি, ছবি আঁকা ও গান শোনা তাঁর বিশেষ পছন্দের বিষয়। ছড়া, কবিতা, অনুবাদ ও গল্প লিখতে ভালোবাসেন তিনি।
বেশ সুন্দর। কলম চলুক।
ধন্যবাদ জানাই সু্ন্দর অভিমতের জন্য।