ভাবতে পারো এসব আমার
নিছক কোনো কল্পনা,
সত্যি বলছি সত্যি এটা
মনগড়া এক গল্প না।
জ্যোৎস্নারাতে রোজ সে আসে
আমার বাড়ির ছাত পরে,
ধীর ইশারায় কাছে ডাকে
আলতো করে হাত ধরে।
তার সে ঠোঁটে ঠিকরে পড়া
ফুলেল হাসি রোজ ঝরে,
চাঁদ যেন ঠিক সামনে আসে
আলোর ডানায় ভর করে।
ঝলসে ওঠে চোখ দুখানা
বাকহারা হই তাক লাগে,
প্রলয় ওঠে ঝড়-তুফানে
হৃদয় জুড়ে প্রীত জাগে।
চাইলে ছুঁতে নিবিড় হতে
অনুরাগে মুখ রাঙে,
এমন সময় দমকা হাওয়ায়
হঠাৎ কাঁচা ঘুম ভাঙে!
নবতরু ই-পত্রিকার লেখক তথা ছড়াকার খাইরুল আনাম-এর জন্ম ১৯৭৬ সালে। বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের বাসিন্দা খাইরুল আনাম দীর্ঘদিন ধরেই সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। খুব ছোটো বেলা থেকে সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত। আবৃত্তি ও অভিনয়ের প্রতি ছিল প্রচন্ড ঝোঁক। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম সাঁই সিরাজ (লালন ফকির) যাত্রায় শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু। তার পর থেকে আরো অনেক যাত্রা ও নাটকে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। বাবা আব্দুল মাবুদ সাহেব ছিলেন স্বনামধন্য শিক্ষক, দক্ষ অভিনেতা ও নির্দেশক। তাঁর হাত ধরেই সংস্কৃতি জগতে প্রবেশ। আবৃত্তি, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রভৃতিতে যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। পরবর্তীতে তাঁর নাটকের দিকে আগ্রহ বাড়ে। মঞ্চ এবং পথে(পথ নাটিকা) বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সাক্ষরতা আন্দোলনে তাঁর মঞ্চাভিনয় ও পথ-নাটিকা এলাকায় যথেষ্ট সাড়া ফেলছিল।
সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ পেশায় শিক্ষক আনাম সাহেব করোনাকালেই লিখে ফেলেছেন বহু কবিতা ও ছড়া, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
আহা, বড়ো ভালো লাগলো।
অসাধারণ ছন্দ।