অপত্য স্নেহের প্রতিদান: তুলি মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে বাইক রেখেই অপত্য স্নেহে জড়িয়ে থাকা নিরীহ প্রাণ গুলোর টানে একছুটে ওদের কাছে আসেন প্রাণতোষ। ওরাও পরম বিশ্বাস আর ভরসায় সারাদিন নানা মানুষের কাছে পাওয়া অবহেলা জানিয়ে দেয় বিশ্বস্ত বন্ধুকে। ওদের দুঃখ ভীষণ ভাবে উপলব্ধি করতে পারেন উনি। গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে, রোজ খেতে দিয়ে ওদের পাশে থাকেন। পারস্পরিক ভালোবাসা বিনিময়ের বন্ধন এটুকুই।

সেদিন ফিরতে একটু রাত। পাড়ার পথ আগলে উদ্ধত চার যুবক। এদের বরাবরের চক্ষুশূল এই সারমেয় বাহিনী। নিঃশব্দে করতে যাওয়া গভীর রাতের কুকীর্তি বাধা পায় এদের সম্মিলিত গর্জনে। তাই আজ এদের পালনকারীকেই মারার পরিকল্পনা।
বাইক থামিয়ে ওদের সরতে বলতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণতোষের উপর। চিৎকারে ছুটে আসে বিশ্বাসী সারমেয় দল। ক্ষত বিক্ষত চার যুবক পালাবার আগে একজন প্রভুভক্তকে মেরে ফেলে। ওদের আঁচড়ে কামড়ে ভালোবাসার মানুষটাকে বাঁচিয়ে দিলেও নিজেকে বাঁচাতে পারে নি সে।
তার রক্তাক্ত নিথর দেহের খোলা চোখ দুটো যেন বলছিল, ‘কথা দিইনি তবু কথা রাখলাম পাশে থাকার’
কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রাণতোষ।