একটা চাঁদের হাসি দেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম
আরো আলোর কথা স্নায়ুর কোটরে আসলেও দেখা হয় নি,
শুধু জেগে থাকা জানলাটা একটা একটা করে জ্বলে নিভে গিয়েছিল,
অনেকটা পথ হত্যার পর নখে লেগেছিল শুকনো জমাট রক্ত,
হেঁটেছি না দৌড়েছিলাম মনে নেই,
ক্লান্ত রেডিওতে বেজে থাকা মহিষাসুরমর্দিনী
আমার বাচ্চাবেলার শিউলিফুলের ডাক
সেগুলো জাগেনি আর।
সুখের ক্লান্ত মশারি তুলে ঘুম ভাঙাতে পারেনি ঢাকের আওয়াজ।
কাল হয়তো অষ্টমী বা নবমী,
সুরের পথ ভুলে কেমন এক দুঃখকাঁথায় শুয়ে
স্মৃতি আউরে ঘুমিয়েই ছিলাম অন্য এক ব্যালেন্স শিটে।
১৯৯১ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন প্রীতম বন্দ্যোপাধ্যায়। বাল্যকাল কাটে মুর্শিদাবাদ জেলার কাশিমবাজারে। স্থানীয় ভগিনী নিবেদিতা শিশু শিক্ষা নিকেতন এবং পরবর্তীতে বহরমপুর জে.এন.একাডেমি থেকে পাঠগ্রহণের পর শ্রীপৎ সিং কলেজ থেকে রসায়ণে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণেও তাঁর শখ আছে। অবসর সময়ে লেখালেখি করেন, তবে সেইভাবে আগে কখনও প্রকাশ্যে আসেননি। তাঁর লেখা কবিতা এবং গল্প নিয়মিতভাবে নবতরু পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
লেখাটি বেশ নতুনত্ব 👍🏼